ভাড়া বাড়িতে গিয়ে মিঠাইকে কোনো কাজ না করতে দিয়ে নিজেই উনুন জ্বালিয়ে রান্নার চেষ্টা করছেন সিদ্ধার্থ, ভাইরাল ভিডিও

‘মনোহরা’ ছাড়তে হয়েছে মোদক পরিবারকে। পাড়ারই একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তারা। বিপদে মনোবল হারাতে নারাজ মিঠাই।

পরিবারের সকলকে ভালো রাখার চেষ্টায় সে। একের পর এক বিপদের সম্মুখীন মিঠাই ও তার পরিবার। সিদ্ধেশ্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

দাবি করা হয়, মিষ্টির ব্যবসার আড়ালে অন্য কোনও কারবার চালাচ্ছে সে। এর পরেই মোদক পরিবারের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়।

বাড়িও ছাড়তে হয় তাদের। নাতজামাইরা সাহায্য করতে চায় সিদ্ধেশ্বরকে। কিন্তু সে কারও কাছে আশ্রয় নিতে রাজি নয়। নিজেদের পাড়াতেই একটি বাড়ি খোঁজে সিদ্ধার্থ এবং সন্দীপ। সাময়িক ভাবে সেখানেই থাকবে মোদক পরিবার। নতুন বাড়ি তো পাওয়া গেল। কিন্তু বাড়িওয়ালা যে ‘খিটখিটে’! সে বুনো ওল হলে সিড যেন বাঘা তেঁতুল। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দেয় মিঠাই। হল্লা পার্টির সঙ্গে নতুন বাড়ি সাজানোর কাজে লেগে পড়ে সে। সাহায্য করে সিদ্ধার্থও। ‘মনোহরা’র আরাম নেই ভাড়া বাড়িতে। গ্যাস নয়, উনুনে রান্না করছে মিঠাই। অনভ্যাসের কারণে যদিও সে নাজেহাল!

উনুনের ধোঁয়ায় মিঠাই রাণীর কষ্ট হয় আর তাই দেখে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সিদ্ধার্থ। কিন্তু মিঠাই রানী বলে, আরে উচ্ছে বাবুজি মনোহরাতে হেল্প করা আর এই বাড়িতে হেল্প করা এক নয় তুমি পারবেনা। এরপর মিঠাইয়ের অনেকবার না করা সত্ত্বেও সিদ্ধার্থ বলে আমি তোমার সাহায্য করবোই। কারণ এখন আমাদের জন্য এটাই মনোহরা। দিয়ে উনুন ধরাতে বসে পড়ে উচ্ছেবাবু! নাকে হাত দিয়ে হাত পাখা নেড়ে উনুন জ্বালানোর চেষ্টা করে সিদ্ধার্থ। আর তা দেখেই অবাক হল্লাপার্টি। হল্লাপার্টি এসে বলে এ কি কান্ড! খারাপ সময়ে মনোবল হারাতে রাজি নয় মোদক পরিবার। একসঙ্গে থাকার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিয়েছে তারা। ওমি আগরওয়ালের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ময়দানে নেমেছে আদিত্য।

স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমীলা সাহায্য পাচ্ছে সে। দু’জনে মিলে ষড়যন্ত্র করে বাস্তুহারা করেছে মোদক পরিবারকে। এর আগেও দেখা গিয়েছিল কাউন্সিলর প্রমীলা তার লোক পাঠিয়ে মিষ্টির দোকান ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছিল মোদক পরিবারের। তখন দেখা গেছিল মিঠাই যাহোক করে সেই মিষ্টির দোকান বাঁচিয়েছিল। লোকগুলোর ওপর একসময় মিষ্টির রস ঢেলে দিয়েছিল মিঠাই। এরপর দেখার পালা শেষমেশ এই বিপদ কাটিয়ে উঠবে সিদ্ধার্থ-মিঠাই? পরিবারকে নিয়ে তারা ফিরে যেতে পারবে ‘মনোহরা’য়? এখন সেটাই দেখার। সম্প্রতি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে জি বাংলার অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে। ৩০৩ হাজার মানুষ বর্তমানে এই ভিডিওটির মাত্র একদিনের মধ্যেই দেখেছেন আর লাইক করেছেন দশ হাজার মানুষ। এদিকে ভিডিওটিতে অসংখ্য কমেন্ট হয়েছে এবং অনেক মানুষ ভিডিওটিকে চারিদিকে শেয়ার করেছেন। বর্তমানে ভিডিওটি তুমুল পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।