নির্বাচনে হেরে গিয়েও নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছেন, বাঁকুড়ার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা

প্রাণপণ প্রচার, বিখ্যাত সংলাপ আওড়ে প্রচুর হাততালি পেয়েছেন। তবে ২ মে জয়ের মুখ দেখেননি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকা প্রার্থীকে নয়,

বাঁকুড়ার মানুষ নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছে বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিকে। জীবনের প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েও দমে যাননি অভিনেত্রী।

এগিয়ে এসেছেন কাজ করতে। সেখানকার মানুষের পাশে থাকতে। কোভিড আক্রান্তদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু,

হওয়ার কথা ইনস্টাগ্রামে জানালেন অভিনেত্রী। মানুষের সুবিধার্থে ভাগ করে নিয়েছেন একাধিক যোগাযোগ নম্বর। অনেকেই মনে করেন,

অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতিবিদ হওয়ার যোগ্য নন, কিন্তু গোটা ভারত জুড়ে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে এমন অনেক নজির আছে,

যেখানে দেখা গিয়েছে বেশকিছু জনভিনেতা অভিনেত্রী সফল রাজনীতিবিদও হয়েছেন। এমনকি স্বয়ং জয়ললিতা ও তার প্রথম জীবনে একজন অভিনেত্রী ছিলেন।

বাংলাতেও এবার সেই হিড়িক পড়েছে অন্তত এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের ময়দানে নেমে গোড়া,

থেকেই বলেছিলেন যে বাঁকুড়ার মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মীক যোগ তৈরি হয়েছে। ভোটবাক্সে পরাস্ত হয়েও সেই সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হয়নি।

তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর মন্তব্য, “বাংলা বাংলার রায় দিয়েছে, বাংলার মেয়ের কাছেই বাংলা থাকছে। তৃতীয়বারের জন্য আমাদের অভিভাবিকা হিসেবে,

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে পেয়ে আমরা গর্বিত”। বাঁকুড়া প্রসঙ্গে বলেছেন, “এবার আসি বাঁকুড়ার কথায়, আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম বাঁকুড়া আমার নিজের পরিবার।

তাই ব্যালটের রেজাল্ট কিংবা কয়েকটা ভোটের ব্যবধানে আমার প্রতিশ্রুতিগুলো বদলয়ানি। প্রথম দিনের মতোই আজকের দিনেও আমি ঠিক একই কথা বলব,

সুখে না থাকতে পারি দুঃখে অবশ্যই থাকব।” ইয়াস বিধ্বস্ত বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সায়ন্তিকা।

তবে রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই সমাজ সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছেন অভিনেত্রী গত লকডাউনে তাকে ত্রাণ করতেও দেখা গিয়েছিল।