



প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আমরা ভাইরাল হতে দেখি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। সারাদিনের বেশ খানিকটা সময় আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়াতে,




ব্যয় করে থাকে এই সমস্ত ভাইরাল ভিডিও গুলো দেখে। করণা মহামারীর সময় যখন সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল সেই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার চাহিদা,




এবং গুরুত্ব দুটোই খুব পরিমানে বেড়ে যায়। গৃহবন্দী মানুষ তখন নিজেকে ব্যস্ত রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপ করে পোস্ট করতে,
শুরু করে এবং সেখান থেকে তাদের ভালো ইনকামও হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার জারিজুড়ির কাছে এখন কেউ টিকতেই পারছে না। এখানে কখন কার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে, তা ধরতেই পারবেন না। আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে একেকটা ট্রেন্ডিং গান আমাদের মাতিয়ে রাখছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ইন্টারনেট আমাদের কী ভাবে দিনে দিনে সবার কাছে আপন হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া নামক প্ল্যাটফর্মটা বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই মানুষের অজানা বলে আর কিছুই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক জিনিস আছে যা সাধারণত আমাদের চারিপাশে দেখা যায় না। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিদিন এমন হাজার হাজার ভিডিও ভাইরাল হয় যেই সব ভিডিও থেকে আমরা কখনো কখনো মুগ্ধ হয়ে যাই। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা আজকে আপনাদের জানাবো যে ঘটনা দেখে আপনারা পুরো অবাক হয়ে যাবেন। মুমতাজ এম. কাজী ভারত তথা এশিয়ার প্রথম মহিলা ডিজেল ইঞ্জিন রেলচালক। এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারই হাতে” নারী শক্তি পুরস্কার “টি তুলে দিলেন রাস্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জী। এই বছর বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৭ জন শীর্ষ স্থানীয় মহিলাদের এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। বিগত ২৫ বছর ধরে মুমতাজ ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেলপথ ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস- থানে বিভাগে লোকাল ট্রেন সহ বিভিন্ন ট্রেন নিয়মিত চালিয়ে আসছেন। ১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা বছর কুড়ির মুমতাজ যখন রেলওয়ের চাকরির ফর্মটি পূরণ করেন তখন তাঁর পথ বর্তমান চলার পথের মত এত মসৃন ছিলনা।
নানারকম পারিবারিক ,সামাজিক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে । কিন্তু দৃড়চরিত্রের মুমতাজের জেদের কাছে সবরকম বাধাবিঘ্নকে অবশেষে মাথা নোয়াতেই হয় । তখন থেকেই বছর ৪৫র মুমতাজ এম.কাজী মাথা উঁচু করে ছুটিয়ে নিয়ে চলেছে ভারতীয় রেলের শকট! এর আগে ১৯৯৫ সালে মুমতাজের নাম লিমকা রেকর্ড বুকে স্থান পায় ,প্রথম মহিলা ডিজেল ইঞ্জিন চালক রুপে। ভারতীয় রেল তাঁর এই অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাঁকে পুরস্কৃত করেন “রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার এওয়ার্ড”। সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষ অসংখ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুমতাজকে। এই ঘটনা এখন সারা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রাজত্ব করছে।