



‘আমি ভবঘুরেই হবো এটাই আমার অ্যাম্বিশন’ এমনই খানিকটা অ্যাম্বিশন রয়েছে প্রাঞ্জল বিশ্বাসের। তাঁর ইচ্ছে ফকির হওয়ার।




একদিন হারিয়ে যাওয়া সাইকেল খুঁজতে খুঁজতে এক ফকির বাবার সাথে আলাপ হয় তাঁর। সেই ফকিরবাবাই ওর হাতে তুলে দেয় দোতারা।




আর সেটাই এখন সবসময়ের সঙ্গী। জীবনদর্শনের এমন পাঠ সে পেয়েছে যে বড় হয়ে ‘ফকির’ হওয়ার স্বপ্নই দেখে এই ছেলেটি।
তার গান শুনে হারিয়ে যান সকলেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক বাচ্চা ছেলেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত সুপারস্টার সিঙ্গারের মঞ্চ মাতিয়েছিল। এখন অবশ্য ঘরের ছেলে ফের ঘরে ফিরে এসেছে। কিন্তু সুপারস্টার সিঙ্গারের কারণে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন। আর এই কারণেই তো লাইভ শো থেকে ডাক পাচ্ছে সে। এই যেমন কিছুদিন আগে দমদম মিলন সংঘ থেকে ডাক পেয়ে প্রাঞ্জল গিয়েছিল। তার গানে রয়েছে মাটির টান। তাঁর কথাবার্তা, পোশাকআশাকেও রয়েছে সেই ছোঁয়া। আগে প্রতিটি এপিসোডে ধুতি পাঞ্জাবি আর দোতরা হাতে নিয়ে হাজির হত সে। এটাই তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট।
বেছে নেয় হারিয়ে যাওয়া গান, যে গান শুনলে মনে পড়ে প্রকৃতির কথা, গ্রামের ফেলে আসা মেঠো পথ আর টলটলে জলের পুকুরের কথা। এখনও একই আছে। একটুও পরিবর্তন হয়নি প্রাঞ্জলের। লাইভ শো তেও নীল ঢোলা পাঞ্জাবি আর হাতে দোতরা নিয়ে মঞ্চে উঠেছিল। ‘আল্লাহ কে বান্দে’ গান গেয়েছে সে। তার গানের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে অমোঘ সুর। সেই গান শুনে স্থির থাকা দায়। মাথা নুইয়ে আসবেই। প্রাঞ্জলের এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তপতী স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেল থেকে। মাত্র তিনদিন আগে পোস্ট করা ভিডিওটি ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার দেড়ের মানুষ দেখে ফেলেছেন। লাইক করেছেন বেশ কিছু মানুষ। কমেন্ট করে জানিয়েছেন প্রাঞ্জলের প্রতি তাদের ভালোলাগার কথা।