ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও মেলেনি কোনো চাকরি, তাই সংসার চালাতে দোকান দিলেন ইঞ্জিনিয়ার চাউমিনওয়ালা

এমবিএ চায়েওয়ালার গল্প আমাদের সবার জানা, এম‌এ ফুচকাওয়ালির খবর‌ও মুখে মুখে ঘোরে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ইঞ্জিনিয়ার চাউমিন‌ওয়ালা।

হ্যাঁ, ২০২১ সালে ৭৪% নম্বর নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ভূজারিপাড়ার সৌরভ রায়।

কিন্তু অভাবের তাড়নায় বর্তমানে ফাস্টফুডের দোকান দিয়েছেন তিনি। কি নেই তাঁর দোকানে? মুখরোচক চপ, কাটলেট থেকে শুরু করে জিভে জল,

আনা এলাহি চাইনিজ। একমুখ হাসি নিয়ে ক্রেতাদের দাবি পূরণ করে চলেছেন সৌরভ। বেসরকারি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে পরিবারের। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করেছেন বেসরকারি সংস্থায়। নিজের যৎসামান্য আয় দিয়ে মনেপ্রাণে সাহায্য করতে চেয়েছেন অভাবের পরিবারকে। কিন্তু পড়াশোনা শেষে যদি পুরোপুরি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতে হয় তবে তো কোনোদিন‌ই অভাব মিটবে না পরিবারের। তাই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (PSC) পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে তাঁর।

ব্যবসার ফাঁকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন অঙ্ক আর জেনারেল নলেজের ব‌ইতে। যেহেতু ফাস্টফুডের দোকানের আসর জমে সন্ধ্যাবেলাতে, তাই গোটা দিনটাই হাতে থাকে তাঁর।‌ সেই সময়েই জোরকদমে চলছে পড়াশোনা। সৌরভ জানান, “ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচটা আমার বাবার পক্ষে বয়ে নিয়ে চলা অসম্ভব ছিল। তাই সেই সময় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজে ঢুকি। করোনার পর থেকে বুঝতে পারি, মানুষের মেধার দামটা কীভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারি চাকরির প্রতি আমার আস্থা বেড়ে গিয়েছে। নিজের এই দোকান চালানোর পাশাপাশি আমার পড়াশোনা চলছে।