লেখা দেখেই তো অর্ধেক অসুস্থ সব ঠিক হয়ে যাবে! এই ডাক্তাবাবুর হাতের লেখা প্রেসক্রিপশন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল

স্যোশাল মিডিয়ার কল্যানে যেসব মানুষের খবর সংবাদপত্রের পাতায় কিংবা নিউজ চ্যানেলে ঠাঁই পায়না, তা-ই নব্যমাধ্যমের দৌলতে মুঠোফোনে চলে আসে।

এই যেমন এক ডাক্তারের কথা। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের নাম শুনলেই চোখে ভাসে অবোধগম্য কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাংয়ের মতো লেখা।

বহুযুগ ধরে এটাই প্রচলিত, এমনকি এটা একটা মিথ হয়ে গিয়েছে, ডাক্তার মানেই খারাপ হাতের লেখা। মনে করা হয়,

যেহেতু ডাক্তাররা প্রচুর চিন্তাভাবনা করেন তাই ভাবনার বেখেয়ালে হাতের লেখার দিকে দৃকপাত করার সময় থাকে না। কিন্তু সেই মিথ এবার ভেঙে দেখালেন ডঃ নিথিন নারায়ণন। কেরালার পালাক্কাদের একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে গত তিন বছর ধরে প্র্যাক্টিস করছেন তিনি। ত্রিশুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ থেকে এমডি করার পর সুচিকিৎসা করে যত না খ্যাতি পেয়েছেন তার চেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাঁর হাতের লেখার জন্য। একেবারে গোটা গোটা অক্ষরে সুন্দর স্বচ্ছ হাতের লেখায় প্রেসক্রিপশন লেখেন তিনি।

তাঁর প্রেসক্রিপশন পড়ার জন্য কোনো কেমিস্টের প্রয়োজন পড়ে না, রোগীরা নিজেরাই পড়ে ফেলতে পারেন। ডঃ নারায়ণনের একটি প্রেসক্রিপশনের ছবিই এখন ঘুরছে স্যোশাল মিডিয়ায়। সুন্দর হাতের লেখার দৌলতে প্রশংসা পেয়ে চলেছেন অনবরত। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ডাক্তার বলেন, ছোটো থেকেই তিনি লিখতে ভালোবাসতেন, হাতের লেখাও ছিল সুন্দর। তাই ডাক্তার হ‌ওয়ার পর‌ও তা বজায় রেখেছেন। ডঃ নারায়ণনের কথায়, “ফার্মাসিস্টদের অনেক ধরনের হাতের লেখায় অভ্যস্ত হতে হয় এবং আমিও তাই এইভাবে লেখার চেষ্টা করি।” তাঁর সংযোজন, “ডাক্তারদের হাতের লেখা অপঠিত হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে আমি জানি।

আমি লিখতে ভালোবাসি বলেই হয়তো আমার প্রেসক্রিপশনগুলো ব্লক অক্ষরে লিখি। অন্য ডাক্তাররা অযৌক্তিকভাবে লেখেন কারণ হয়তো তারা ব্যস্ত। আমি যখন ব্যস্ত থাকি তখনও আমি সুস্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লেখার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। রোগীরা প্রায়ই এটির প্রশংসা করে।” তিনি জানিয়েছেন, “আমি ও বোন যখন ছোট ছিলাম তখন আমাকে চার লাইনের নোটবুকে লিখতে বলা হত। আমি লিখতে ভালোবাসি, তাই আমি যখন প্রেসক্রিপশন লিখি তখনও আমি ব্লক অক্ষরে লেখার চেষ্টা করি।” বলাই বাহুল্য, বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ার পাতা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডাক্তারবাবুর হাতেরলেখা।