



সোশ্যাল মিডিয়ার আরো দুটি নাম আছে যথা নেট দুনিয়া এবং নেট মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই সিনেমা থেকে শুরু করে খেলাধুলা,




নিমিষেই উপভোগ করতে পারি। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা বন্যা, ভারী বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত তথ্য,




নিমিষেই জেনে যেতে পারি। এছাড়া এই নেট দুনিয়া আছে বলেই কোনো প্রতিভা একেবারে শুরুতেই শেষ হয়ে যায় না। প্রতিভাবান ব্যক্তিরা,
এই নেট দুনিয়াতে নিজেদের প্রতিভার ভিডিও আপলোড করেন এবং সেই ভিডিওটি নেটিজেনদের মধ্যে ভাইরাল হলে ওই প্রতিভাবান ব্যক্তি রাতারাতি স্টার হয়ে যান। রাশিয়ার মাটিতে সম্মানিত বাংলার অভিনেতা চন্দন সেন। অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত ‘দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ‘প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে’ সেরা পুরুষ অভিনেতার শিরোপা জিতলেন বিশিষ্ট অভিনেতা। তার এই সাফল্যের খবর দু’দিন আগেই ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ার কোনায় কোনায়। তরপর থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে গেছেন অভিনেতা। অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চন্দনকে। লিখেছেন, ‘ভারতীয় নির্দেশক অভিনন্দন ব্যানার্জী নির্দেশিত “দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান” ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাশিয়ার,
প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিনেতার পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেতা চন্দন সেন… অভিন্দন।’ ২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এক পুরুষ ও এক মেঘের মধ্যেকার সম্পর্কই ছবির মূল উপজীব্য। চন্দন ছাড়াও দেবেশ রায়চৌধুরী এবং ব্রাত্য বসুর মতো অভিনেতা অভিনয় করেছেন ‘ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’ ছবিতে। প্রসঙ্গত, রুপোলি পর্দা হোক কিংবা মঞ্চ অথবা টেলিভিশনের পর্দা সবেতেই সমান সাবলীল ৫৯ বছরের অভিনেতা চন্দন সেন। খুব কম বয়স থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত চন্দন সেন। থিয়েটার দিয়ে হাতে খড়ি হওয়ার পর ছোটো পর্দা,
বড়ো পর্দা কোথায় না কাজ করেননি তিনি। ১৯৭৭ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে থিয়েটারে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁর শিল্পীজীবনের সূচনা। ১৯৯৭ সালে ‘নাট্য আনন’ থিয়েটার গ্রুপে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর পা রাখেন চলচ্চিত্রের আঙিনায়। তাঁর অভিনীত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বো ব্যারাকস ফরএভার’ (২০০৪), ‘ম্যাডলি বাঙালি’ (২০০৯), ‘টান’ (২০১৪) ইত্যাদি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘শর্ট কাট’। মেগা সিরিয়ালেও জনপ্রিয় মুখ তিনি। ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় মন জিতেছে দর্শকদের।
২০১০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু মারণ রোগও থামাতে পারেনি তাঁকে। অদম্য জেদ ও মনোবলে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ফলিকিউলার লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে দীর্ঘদিন কেমোথেরাপি চলেছে। সেই সময়ও কেমো দিয়ে এসে অভিনয় করতে হাজির থেকেছেন মঞ্চে। শেষমেষ ক্যানসারও হার মেনেছে তাঁর মনোবলের কাছে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম রত্ন চন্দন সেন। অবশেষে রাশিয়ার মাটি থেকেও নিজের কাজের জন্য পেলেন এমন অসামান্য স্বীকৃতি।