



পয়লা নভেম্বর থেকে স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই ঐন্দ্রিলা আর সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি আর সব্যসাচীর ছায়াসঙ্গীর মতো,




তাঁর পাশে থাকার ঘটনা, সবমিলিয়ে প্রার্থনা আর আবেগের জোয়ারে ভাসছিল সবাই। কিন্তু শেষরক্ষা আর হলনা। সবার প্রার্থনা আর আশীষের,




মায়া ত্যাগ করে গতকাল বেলা ১২:৫৯ তে চলে যান তিনি। যতদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন ঐন্দ্রিলা, পাশে থেকেছিলেন সব্যসাচী।
উশকো খুশকো চুলে সারাটা দিন রাত হাসপাতালের বেঞ্চে দিনপাত করেছেন। সেখানেই দায়িত্ব শেষ হয়নি তাঁর। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার, খুঁটিনাটি লিখে পোস্ট করছিলেন অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে। সব্যসাচীর শেষ লেখা পোস্টে ছিল আশা। একটা আশা, ঐন্দ্রিলার ফিরে আসার। তাঁর দাবি ছিল, নিজেহাতে হাসপাতালে যখন নিয়ে এসেছেন তিনি ফিরিয়েও নিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রাণহীন দেহ ফিরল শেষমেষ। ক্যাওড়াতলা শ্মশানে ঐন্দ্রিলার পা ধরে এঁকে দিলেন চুম্বন। কপালে দিলেন চন্দনের টিপ। গোটা সময়টা মিডিয়ার শকুনের নজর পড়ে রইল সব্যসাচীর দিকে। কখন কাঁদবেন তিনি। কখন আকুলি বিকুলি করবেন। কিন্তু সব্যসাচী কাঁদলেন না। কেবল শান্ত চোখে তাকিয়ে রইলেন ঐন্দ্রিলার মুখের দিকে। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আগের রাতে আশাভরা ফেসবুক পোস্টটা মুছে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্য হওয়ার পর দেখা গেল ফেসবুক থেকেও সরেছেন সব্যসাচী।
এখানেই নিজের লেখা পোস্ট করতেন। ‘দলছুটের কলম’ নামক একটি বইও প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর। জানা যায়, ঐন্দ্রিলাই তাকে লেখা ধরিয়েছিলেন। কেমন আছে সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে? খবর দিলেন বন্ধু সৌরভ।বললেন, “সব্য ভেঙে পড়েছে। কেমনই বা থাকবে এই পরিস্থিতিতে! ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। তবে সব্যকে বলেছি, এক ফোঁটা চোখের জল না ফেলতে। আজ ওকে সামলাতে হবে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে। সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবে না। কারণ ‘মিষ্টি’র কথাতেই ও লিখতে শুরু করে।” সৌরভ আরও জানায়, “এতদিন ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল সকলের সঙ্গে। যদি কেউ আশা করেন, ফেসবুকে কোনও পোস্ট দেবে সব্য, তা আর হবে না।”