



সোশ্যাল মিডিয়ায় বার বার বলেছিলেন ঐন্দ্রিলা ফিরবে। দীর্ঘ কুড়ি দিন ধরে যখন অভিনেত্রী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তখন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী,




তার স্বাস্থ্যের আপডেট দেওয়ার সময়েও লিখেছিলেন, নিজে হাতে করে নিয়ে এসেছি, নিজের হাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।




কিন্তু তা আর হল না। দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা। গত কয়েকদিন ধরেই নেট মাধ্যমে বেশিরভাগটা জুড়ে ছিলে,
সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলা। সেই ১লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ছায়া সঙ্গীর মতো লেগেছিলেন সব্যসাচী। একটানা কুড়ি দিন লড়াই চালিয়ে যান ঐন্দ্রিলা আর তার পাশে ছিলেন বন্ধু সব্যসাচী। দুবার মারণ রোগ ক্যান্সারকে হারিয়েছিলেন এবারেও কোন মিরাক্কেল ঘটিয়ে ফিনিক্স পাখির মতোই ফিরে আসবেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তা আর হলো না। ছুটির দিন মানুষ যতই খোশ মেজাজ এ থাকুক না কেন গতকাল দুপুরে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর প্রকাশে আসা মাত্রই শোকস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বাংলা। এত মানুষের এত পার্থনা সবই ব্যর্থ হয়ে গেল নিয়তির কাছে। আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে সত্যিটা যতই কঠিন হোক মেনে নিতে হয়। দুপুর ১২:৫৯ অভিনেত্রী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর অভিনেত্রীর শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু হয়।
তবে অভিনেত্রীকে হাসপাতাল থেকে বের করার সময় তার অনুগামীদের ভিড় জমে ছিল হাসপাতাল চত্বরে প্রিয় অভিনেত্রীকে একবার দেখার জন্য। তারপর হাসপাতাল থেকেও ঐন্দ্রিলার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কুঁদঘাটের আবাসনে। সেখানেও মেন্দি লোকের শেষ বারের মতো দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন টলিপাড়ার তার সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তার সঙ্গে সাথে ছিল ঐন্দ্রিলার অগন্তি অনুগামীরা। তার সাথে ছিল তার বন্ধু সব্যসাচীও।শেষবারের জন্য অভিনেত্রী নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলেন নেট মাধ্যমে সব্যসাচীকে। অভিনেত্রী নিজেই লিখেছিলেন তার বেঁচে থাকার কারণ সব্যসাচী। আর এটা সকলেরই জানা আর সর্বদাই ঐন্দ্রিলাকে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পরে একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে গেছে তার ছায়াসঙ্গী।
শনিবার রাতেই ঐন্দ্রিলা কে নিয়ে করা সকল পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন সব্যসাচী নিজেই। সেটা দেখার পর অনেকেই খারাপ কিছু রাখার সংখ্যা করেছিল কিন্তু মন মেনে নিতে চাইনি কারো। এদিন দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর শেষকৃত্য। শেষকৃত্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে কালো টি-শার্ট পরনে দেখা গেল সাব্যসাচীকেও। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে যেন পাথর হয়ে গিয়েছেন তিনি। উস্কোখুস্কো চুল, চোখেমুখে শুধুই নিঃস্তব্ধতা। শেষবারের মত ঐন্দ্রিলার কপালে চন্দন পরিয়ে নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছেন সব্যসাচী। তারপর ঐন্দ্রিলার পা ধরে চুম্বন করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শায়িত রয়েছে ঐন্দ্রিলার মৃতদেহ। ঠিক তার পাশেই একদৃষ্টে তাকিয়ে ঠায় বসে রয়েছেন সব্যসাচী।