ক’রোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন এর জেরে সারা ভারত যখন ঘরবন্দি, ৮০ বছর বয়স্ক এক কুলি শ্রমিকদের মাল বহন করার দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের ঘাড়ে। নাম তার মুজিবুল্লাহ। পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই নিচ্ছেন না। বিনা পারিশ্রমিকে এর লখনৌ স্টেশনে প্রত্যেকদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা এই কাজ করে চলেছেন নিজহস্তে। তিনি বলেছেন এই কাজ তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
ক’রোনার প্রভাবে পুরো দেশ নাজেহাল। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অর্থসাহায্য প্রভৃতির মাধ্যমে মানবিক মুখগুলি উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। ক’রোনা মোকাবিলায় প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেকের পাশেই দাঁড়ানো। ছিটেফোঁটা সাহায্য যেন আজ মহার্ঘ।
মুজিবুল্লাহ নামে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, টাকা রোজগার তো পরেও করা যাবে কিন্তু এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি চলছে সেই মুহূর্তে তার যাত্রীদের পাশে থাকা ভীষণ জরুরী। অর্থের জন্য নয়, সম্পূর্ণ স্বইচ্ছায় বিনা মজুরিতে থেকেছেন মানুষের পাশে।
বর্তমানে এমন কোনো মানুষ নেই যাকে কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি এই লকডাউনে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। আর ঠিক এমনটাই প্রমাণ করলেন ওই বছর আশির বৃদ্ধ কুলি মুজিবুল্লাহ।
This is mujibullah
Coolie by profession
Helping laborers at Charbag station by picking up carrying them
Refusing to take money
Saying that they are doing their work for free
No need for money you're in the furnace of the situation yourself
Walking 6 kilometers daily for this work pic.twitter.com/OaCcYCSZMf— Hamza Siddiqui (@MohdHAMZASiddi1) May 29, 2020
এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ গুলির নির্দেশিত পথে একসময় করোনা মুক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করা যায়। সাধারণ মানুষেরই ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ সাফল্যের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছে দিতে পারে সারা দেশবাসীকে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দরিদ্র ধনী ভেদাভেদ না করে এই ভাবে পাশে থাকাটাই আজকের দিনের জরুরি হয়ে পড়েছে।
He may be 80, but he carries the luggage of hardpressed Shramik train passengers for free. Meet Mujibullah Rehman from Lucknow. pic.twitter.com/HZ6gBnIwWk
— Brut India (@BrutIndia) June 1, 2020
নিজের বয়সের হিসাব কে তোয়াক্কা না করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাল বহনে নিজেকে নিয়োজিত করে মুজিবুল্লাহ নামের ওই ব্যক্তি দেখিয়ে দিলেন, বয়সও মানবিকতার পরিসীমাকে বাঁধতে পারেনা। দু’র্যোগের দিনে যেভাবে তিনি বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।